দ্বিধা
অনুবাদই করে যাব নাকি মৌলিকে যাব—ফিলিস্তিন এই দ্বিধা কাটিয়ে দিছে। ফিলিস্তিনি সাহিত্য অনুবাদের চেয়ে আনন্দ আর নাই। ফিলিস্তিনি থ্রিলারের চেয়ে রোমাঞ্চ আর নাই; একেবারে ভিন্ন স্বাদ। ফিলিস্তিনি নারীদের লেখা দুনিয়ার আর সব রচনা থেকে ভিন্নতর অনুভূতি ব্যক্ত করে। ইচ্ছা করে ফাদওয়া তুকান বা আদানিয়া শিবলির পরে শুধু লিয়ানা বদর না, হালা আলিয়ান, নাজলা সাইদ, সাহার খলিফা, মায়া আবুল হায়াত, প্রবাসের ইতাফ রাম বা জাইনা আরাফাত, নাজমা খলিল হাবিব, সাহার দাব্বাগ, গাদা কারমি এবং অবশ্যই আসমা আল গৌল—প্রত্যেকের বই বাংলায় অনুবাদ করে ফেলতে। সবার বই বের হওয়া মাত্র ইংরেজিসহ একাধিক ভাষায় অনুবাদ হয়, হচ্ছে, বুকার পুরস্কারসহ বিশ্ব সাহিত্যের বড় বড় পুরস্কার পাচ্ছেন তারা। বাংলা এত দরিদ্র ভাষা যে, আরবি থেকে সাহিত্য অনুবাদের মতো লোকবল এ-ভাষায় গড়ে ওঠে নাই। প্রচুর স্প্যানিশ বা ফরাসি ভাষার সাহিত্য ইংরেজি থেকে হরেদরে বাংলায় অনুবাদ হয় এখানে, তা নিয়ে আলাপও ওঠে, কিন্তু এই দেশে হাজারো ‘আরবি‘ শিক্ষালয় থেকে বেরুনো লক্ষ লক্ষ পণ্ডিত একটা আরবি সাহিত্য অনুবাদের দুয়ার খুলতে পারলেন না—এ এক অকথ্য ব্যর্থতা। আরবি সাহিত্যের ছিঁটেফোঁটা অনুবাদ যা এই দেশে পাওয়া যায়, সিংহভাগ ইংরেজির। ফিলিস্তিনি সাহিত্য তো কর গুণে দশটি পাওয়া যাবে কি যাবে না। ফিলিস্তিন নিয়ে বিশ্ব তোলপাড় করা এই সময়েও প্রকাশকরা গত দুই বছরে একশ ভালো বই বাজারে আনতে পারলেন না। কী আর বলব! অথচ এক বইয়ের একশ অনুবাদও বের হয়। অনেকে শুনছি, কী অনুবাদ করা যায়, খুঁজেই পান না। সত্যি তেমন হলে জানায়েন, জানাব নে, রয়্যালিটির ভাগ দিতে হবে না। ভালো থাকবেন।